কিভাবে চুলের যত্ন নিবেন
চুল হচ্ছে প্রতিটি মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সেটা বেশিরভাগ মানুষ জানে না যার ফলে মানুষ খুব অল্প বয়সে চুল পড়া,চুলের রূক্ষভাব, চুলের আগা ফাটা ও চুলের মাধুর্য হারিয়ে যাওয়ার মত নানারকম সমস্যায় ভোগে থাকে। আমি আজকে আমার এই লেখাটির মাধ্যমে কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে কিভাবে চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
নিয়মিত চুলে তেল লাগান
চুল কথাটি আসলে সবার আগে মাথায় যে জিনিসটি কাজ করে সেটি হল সঠিক উপায়ে চুলে চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত তেলের ম্যাসাজ করা।কারণ চুলের অনেক সমস্যায় তেলের ম্যাসাজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিটি চুল সচেতন মানুষের উচিত সপ্তাহে দুই দিন তেল গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করা এবং এক ঘন্টা রেখে দেয়া।এতে চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি ফিরে পাবে এবং চুলে তেলের ম্যাসাজ করার কারণে চুলের গোড়ায় গোড়ায় তেলটা পৌঁছাতে পারবে এবং এতে চুলের আগা ফাটা, রুক্ষভাব এবং চুল পড়ার মতো নানাবিদ সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা
চুলের যত্নে দ্বিতীয় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেটি হল চুলে তেলের ম্যাসাজ করার পর সঠিক কিন্তু শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা। কারণ যদি কেউ তার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার না করে তাহলে এটি চুল পড়া আরো বাড়িয়ে দিবে এবং সাথে চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যা ফুটিয়ে তুলবে তাই অবশ্যই চুলের সাথে মানানসই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে যাতে করে এগুলা ব্যবহারের উপকারিতা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারে সচেনতা অবলম্বন করে না যার কারণে তারা এইসব ব্যবহারের যথার্থ সুফল ভোগ করতে পারেনা। তাই অবশ্যই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
চুলে প্যাক লাগান
চুলের যত্নের জন্য চুলের প্যাক এর বিকল্প নেই।সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী প্যাক ব্যবহার করুন।এটি হতে পারে ডিম ও মধুর মিশ্রণ অথবা হতে পারে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ,যেমন মেথি ইত্যাদি বিভিন্ন গুঁড়ার মিশ্রণে তৈরি করে নিতে পারেন।বিভিন্ন রকমের এই সকল প্যাক আপনার চুলকে করবে সুন্দর এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে চিরতরে।তাই আজকে থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন কি সপ্তাহে অন্তত একদিন প্যাক লাগাবেন এবং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন প্যাক লাগানোর এক ঘণ্টা পর।
আরো পড়ুন:ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
পরিমাণ মত পানি পান করুন
প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী।কারণ পানি আমাদের ত্বকের মতো চুলকেও হাইড্রেট রাখে এবং চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। তাই প্রতিদিন নিয়মমাফিক ৭ থেকে ৮ ক্লাস পানি পান করতে হবে। এতে করে সহজে নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।তাছাড়া পানি শুধু আমাদের চুলকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে না বরং এটি আমাদের ত্বকের গ্লোল ধরে রাখতে এবং শরীরের নানা রকমের রোগ বালাইকে দূরে রাখতে অনেকটা ভূমিকা পালন করে থাকে তাই তো পানির অপর নাম জীবন। তাই যাদের মধ্যে পানি কম পান করা প্রবণতা রয়েছে তাদের উচিত নিজের শরীরের এবং ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বর্ধিত করার জন্য পানি নিয়মিতভাবে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা
চুলের যত্নে চুলের বাহ্যিকভাবে যতই যত্ন নেওয়া হোক না কেন যদি শরীরের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,বায়োটিন এইসব বিভিন্ন উপাদানের অভাব দেখা যায় তাহলে চুল তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলবে এবং অকালে প্রচুর চুল ঝরে পড়বে এইজন্য সবার আগে গ্রহণ করতে হবে পুষ্টিকর খাদ্য। চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভিটামিন সি ও বায়োটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই প্রতিদিন অন্তত খাদ্য তালিকাই অন্তত একটি লেবু এবং একটি সিদ্ধ ডিম রাখতে হবে ।এটা আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করবে এবং চুলকে প্রাণবন্ত করে তুলবে।তাই চুলকে সুন্দর ও ত্বককে লাবণ্যময় রাখতে হলে বাইরের খাবারকে না বলুন এবং পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা গ্রহণ করুন।
রাত জাগা বন্ধ করুন
চুলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে আরেকটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,আসলে এটি সবার প্রথমে আলোচনা করা উচিত ছিল আর এটি হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো।একটি সুস্থ ব্যক্তির বয়সের ধরণ অনুযায়ী ঘুম প্রয়োজন।যদি কেউ রাতে সজাগ থাকে এবং না ঘুমায় তাহলে তার শরীরে নানারকমের অসুস্ততা দেখা যায়।এছাড়া অতিরিক্ত চুল পড়া এবং চোখের নিচে কালো দাগসহ স্কিন তার মাধুর্য হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ কমাতে হবে যদি নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখবেন
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url