ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত বাড়তি ওজন নিয়ে ভোগে। কিন্তু তাদের ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার সময় আর সুযোগ হয়ে ওঠে না তাই তারা ব্যায়াম না করে কিভাবে ওজন কমানো যায় সে সব উপায় খোঁজে যার মধ্যে ডায়েট প্ল্যান হলো অন্যতম উপায়।আমি আজকে আমার এই লেখাটির মাধ্যমে কিভাবে ব্যায়াম না করেও শুধুমাত্র ডায়েটের উপর ভিত্তি করে ওজন কমানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
মধু ও লেবু মিশ্রিত পানি
সকালের শুরুতে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশ্রিত করুন।এটি নিয়মিত পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ চর্বি কমে যায়।এইজন্য আপনার প্রয়োজন হবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি সাথে এক চামচ পরিমাণ মতো মধু এবং সাথে এক টুকরা লেবু।লেবু ও মধু এই দুইটি উপকরণ সাধারণত যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে, কেননা লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং মধুতে রয়েছে নানা রকমের গুণাবলী যা আপনার শরীরের মেদ ভূড়ি কমিয়ে আপনাকে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।
আরো পড়ুন :পায়খানা কষা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
টক দই
ওজন কমানোর উপায় যারা খুজছেন তাদেরকে আমি বলব টক দই খাওয়া শুরু করুন এবং দেখুন আপনার মধ্যে কিভাবে পরিবর্তন আসে। কি নেই টক দইয়ে?ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে।গবেষকরা বলে থাকে শরীরের জন্য প্রতিদিন এক কাপ করে টক দই খাওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ এটি আমাদের ত্বককে সজিব রাখে এবং সহজে বয়সের চাপ পড়তে দেয় না তাছাড়া টক দই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে থাকে।আর ওজন কমানোর জন্য টক দই খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে এবং খাবারের রুচি কমে যায় যার মাধ্যমে সহজে অতিরিক্ত ওজন ঝরানো সহজ হয়।
চিয়া সিড
ওজনের কমানোর জন্য চিয়া সিড মিশ্রিত এক গ্লাস পানি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। এই জন্য এক চামচ পরিমান চিয়া সিড সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সে পানি সহ পান করতে হবে। চিয়া সিড কখনো শুকনা খাওয়া উচিত নয় এটি সব সময় একটু ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পরে খেতে হয়। যদি কেউ সকালে খালি পেটে চিয়া সিড মিশ্রিত পানি খেতে না চায় তাহলে সে চাইলে অন্যভাবে চিয়া সিড বিভিন্ন সবজি কিংবা ওটস এ যোগ করে খেতে পারে।
ভাত কম খাওয়া
ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই ভাত কম খেতে হবে।রাতে ভাতের পরিবর্তে কেউ চাইলে রুটি খেতে পারে এতে তার শরীরের ওজন খুব দ্রুত কমতে শুরু করবে। ভাত মানুষকে মোটা করে তোলে এবং সাথে তার পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে শুরু করে তাই যথা সম্ভব পারা যায় ভাত কম খাওয়া উচিত। কেউ চাইলে ভাতের পরিবর্তে ওটস খেতে পারে কারন ওটস এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যেটা শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকার করে থাকে। তাছাড়া ভাত হচ্ছে শর্করা জাতীয় খাবার যেটি শরীরের তেমন কোন উপকারে আসে না।
সিদ্ধ ডিম খাওয়া
সকালে ব্রেকফাস্টে সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। তাছাড়া ডিম শরীরের অনেক রকম ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে তাই প্রতিদিন সকালে সবার উচিত একটি সিদ্ধ ডিম খাদ্য তালিকায় রাখা।যেহেতু সকালে ডিম খেলে সারাদিন খাবারের রুচি কমে যায় তাই সহজে এটি ওজন কমানোর একটি উপায় হতে পারে।
ভাজা পোড়া খাবার না খাওয়া
যদি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে আজই ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া বন্ধ করুন কারণ ভাজা পোড়া খাবার শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা এবং গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি করা।তাই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের উচিত তাজাপোড়া খাবার পরিহার করে চলা।
আরো পড়ুন :নারীদের ঘরে বসে কাজ করার উপায়
প্রচুর শাকসবজি খাওয়া
শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার মিনারেল
ও অন্যান্য ভিটামিন।শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেলে তা শরীরকে সতেজ রাখে এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ ভূড়ি জমতে দেয় না যার ফলে বয়সের চাপ সহজে আসে না।তাছাড়া শাকসবজি খেতে পারলে তা শরীরকে সতেজ করে তোলে এবং অলসোতাকে যথাসম্ভব দূরে রাখে।প্লেট ভর্তি শোক-সবজি নিলে ভাতের পরিমান কমে আসে এবং সহজে ওজন কমানো যায়।
উপরে উল্লেখিত প্ল্যান অনুসরণ করে খুব সহজেই কঠিন ব্যায়াম না করেও ওজন কমানো সম্ভব।অবশ্যই যদি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান তাহলে এই ডায়েটের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ হাটাহাটি করুন তাহলে ফলাফল খুব দ্রুতই পাবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url