নিজেকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য কিভাবে গড়ে তুলবেন
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের ইচ্ছা থাকে তারা বাইরে পড়তে যাবে। কিন্তু তারা জানে না ঠিক কোথা থেকে কিভাবে বিদেশে যাওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার আজকের এই লেখাটি তাদের জন্য যারা বিদেশে পড়তে যেতে চায় কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা জানে না।
আমি চেষ্টা করেছি আমার এই লেখাটির মাধ্যমে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যে সব বিষয় জানা আবশ্যক সেগুলা সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করতে।
আরো পড়ুন: মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর সর্বশেষ ভার্সন কোনটি
সঠিক ডিগ্রি নির্বাচন করা
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখতে হবে সেটি হল কোন প্রোগ্রামের জন্য যেতে চায় সেটি নির্বাচন করা।অনার্স ,মাস্টার্স নাকি পিএইচ.ডি ঠিক কোন ডিগ্রীটি নিতে আমি আগ্রহী।যদি অনার্স করতে যেতে চান তাহলে এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। মাস্টার্স এর জন্য অনার্স এরপর আবেদন করতে হবে।আর যদি পি.এইচ.ডি এর জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অনার্স এবং মাস্টার্স দুইটা ডিগ্রী কমপ্লিট করে এপ্লাই করতে হবে।
উপযুক্ত দেশ নির্বাচন করা
কোন দেশে পড়তে যেতে চান সেটি নির্বাচন করে রাখতে হবে। সঠিক দেশ নির্বাচন করা সব থেকে জরুরী কাজ, কারণ সব দেশ সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।প্রতিটা দেশের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন থাকে।যেমন কিছু দেশ ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দেয় আবার কিছু দেশ দেয় না। তাছাড়া কিছু দেশে ইংরেজিতে পড়ালেখা করা যায় আবার কিছু দেশে ওদের নিজস্ব ভাষায় পড়ালেখা করতে হয়।কিছু দেশে জীবনযাত্রার খরচ বেশি আবার কিছু দেশে একটু কম।আবার সব দেশ সব বিষয়ের জন্য ভালো নাও হতে পারে।যেমন, কিছু দেশ তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় এর জন্য ভালো আবার কিছু দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য ভালো।তাই আপনার জন্য কোনটি সঠিক দেশ সেটি আপনাকে আগে নির্বাচন করতে হবে।
ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনার নিকট অবশ্যই ভাষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।আপনি যদি আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড কিংবা অন্য কোন দেশে পড়তে যেতে চান তাহলে আপনাকে যে ভাষার উপর পড়ালেখা করতে যাবেন সেই ভাষার একটি দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।যদি আপনার কারিকুলাম ইংরেজিতে থাকে, তাহলে ইংরেজিতে ভাষাগত দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আপনার একটি পরীক্ষা দিতে হবে যেটার রেজাল্ট পুরো বিশ্বে গ্রহণযোগ্য।এরকম অনেক পরীক্ষা আছে আপনি যেকোনো একটি দিতে পারেন,যেমন,আইএলটিএস,টোফেল ইত্যাদি।আবার যেসব দেশে ওই দেশের ভাষার উপর লেখাপড়া করতে হয় সে দেশে ওই দেশের ভাষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।
অর্থনৈতিক অবস্থা
আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা যাচাই করুন। আপনি কি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়তে যেতে চান নাকি আপনি আপনার খরচ নিচে বহন করবেন এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে আপনি স্কলারশিপের মাধ্যমে যেতে পারেন।বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে স্কলারশিপ দিয়ে তাকে শিক্ষার্থীদের মেধার উপর ভিত্তি করে।তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করে তাদের জন্য আমাদের দেশের সরকার বিভিন্ন বৃত্তি দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করে।অবশ্যই এই সকল স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য খুব ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আর যদি আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো হয় তাহলে আপনি আপনার লেখাপড়ার খরচ নিজে বহন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড কে আবিষ্কার করেন
পরিবার নিয়ে যেতে চান?
বাইরে পড়তে যাওয়ার সময় অনেকে পরিবার নিয়ে যেতে চাই।কিন্তু সব দেশে একই সাথে পরিবারসহ যাওয়া যায় না আবার কিছু দেশে একসাথে পরিবার নিয়ে যাওয়া যায়।তাই আপনি যদি পরিবার সহ যেতে চান তাহলে আপনার এমন দেশ নির্বাচন করতে হবে যেখানে পরিবারসহ নিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি কি নাগরিকত্ব পেতে চান?
কোন কোন দেশ ডিগ্রী সম্পূর্ণ করার পরে কিছু বছর কাজ করার সময় দেই যাতে করে সেই শিক্ষার্থী নাগরিকত্ব পেতে পারে, আবার কোন কোন দেশে এই সুবিধাগুলো নেই।তাই আপনি যদি নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে সেই অনুযায়ী দেশ নির্বাচন করবেন যেখানে আপনি এই সুবিধা পাবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url