কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে
কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজ করা হলেও বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ করা হয় সাধারণত তাই বর্তমান সমাজের মানুষকে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। এই আর্টিকেলে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
- কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর উপকারিতা
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর অপকারিতা
- উপসংহার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ বিষয়টি জানার আগে আমাদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকি সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে সেটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়াকে সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। কৃতিত্বের বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি অংশ।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
যেখানে মানুষের বুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ইংরেজিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলা হয়। বর্তমানে বিশ্বের একটি প্রশংসনীয় এবং আতঙ্কের নাম হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমান সময়ে একটি অ্যাকাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
এখানে আপনাকে শেখানো হয় কিভাবে বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করবে এবং কম্পিউটার এছাড়া সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়। সহজ কথায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বোঝানো হয় মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে এবং সেটিকে বাস্তবে রূপ দেয়াকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি।
কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে
বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমন অপকারিতা রয়েছে। মানুষ স্বভাবগতভাবে অপকারিতার দিকটা বেশি তুলে ধরে। তাই সবাই উপকারিতা গুলো বাদ দিয়ে শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতা গুলো নিয়ে ব্যস্ত। আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্পর্কে ধারণা না রেখে থাকেন তাহলে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ বিষয়ে আপনাকে জেনে রাখা উচিত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক ভালো কাজ করছে কিন্তু এখনো মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল হতে পারেনি আর কখনো পারবেও না। এটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমান সময়ে অনেকগুলো কাছের একক সমাধান। মানব মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তার কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করে থাকে।
যারা ইন্টারনেট কাজের সাথে জড়িত রয়েছে সাধারণত তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা সম্পর্কে জানে। কোন কিছু প্রশ্ন করলে অথবা কোন কিছু লেখা চাইলে খুব সহজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এটিকে বাস্তবে রূপ দিয়ে থাকে অল্প সময়ের মধ্যেই। সাধারণত এটি যদি মানুষ তৈরি করতে যায় তাহলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।
যে কাজগুলো মানুষের দ্বারা করা সম্ভব নয় সাধারণত সেই কাজগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই করে দেয়। যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের তৈরি তবুও এটিকে মানুষের চেয়েও উন্নত ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কিছু দিক মানুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরো বেশি উন্নত করার জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর উপকারিতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমন অপকারিতা রয়েছে আমরা প্রথমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে সেই কাজগুলোকে বাস্তবে রূপ দিয়ে থাকে। সাধারণত এই কাজগুলো করার জন্য মানুষের কোন হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন পড়ে না।
আরো পড়ুনঃ আম গাছ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে খুব সহজেই ত্রুটিপূর্ণ কাজগুলোকে করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কাজ করাতে হলে একবার এর মধ্যে তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে।
২। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত হবে। আমরা যদি উইন্ডোজ এর মধ্যে একটি দাবা খেলা খেলি তাহলে কম্পিউটারকে হারানো কঠিন হবে কারণ অ্যালগরিদম এর কারণে কম্পিউটারটি দ্রুত খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
৩। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ খুব সহজে করা যায় যেমন আপনি যদি কোন সিভি তৈরি করতে চান আপনার তথ্যগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দেবেন খুব সুন্দর একটি সিভি তৈরি করে দিয়ে দেবে।
৪। যারা ডিজাইন নিয়ে কাজ করে থাকে সাধারণত তারা যদি খুব সুন্দর এবং নতুন ডিজাইন করতে চাই তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ডিজাইন এর কাজ করতে পারবে।
৫। বর্তমান সময়ের চিকিৎসা ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক অবদান রয়েছে। সাধারণত এটি অল্প সময়ের মধ্যেই ডাক্তারদের যেকোনো ধরনের তথ্য দিতে পারে। এছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
৬। এছাড়া সমুদ্র তলদেশে অনুসন্ধান করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয় এবং মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়।
৭। বর্তমান সময়ে আমরা ব্যাংক অথবা বাড়ির সুরক্ষার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত এটি খুব ভালোভাবেই বাড়ি এবং ব্যাংক অথবা যে কোন প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর অপকারিতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেমন উপকারিতা করে থাকে ঠিক তেমন অপকারিতা ও করে থাকে। কারণ যে সকল অসাধু মানুষ রয়েছে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খারাপ দিকগুলো ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করে থাকে। সাধারণত আমরা ইতিমধ্যেই কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি। চলুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে অনেক চাকরি ক্ষেত্র হুমকির মধ্যে রয়েছে। কারণ ইতি মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বিভিন্ন ধরনের কাজ একাই করে দেয়। তাই মানুষের পরিবর্তে এখন চাকরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়।
২। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা মেশিন নিজেরাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া চিন্তাভাবনা এবং ক্ষমতা বিকাশ করবে। যার ফলে এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মেশিন মানুষকে আক্রমণ করতে পারে এবং মানুষের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায়
৩। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নতুন প্রজন্ম বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে থাকে। যেমন তারা নিজে থেকে পড়াশোনা অথবা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি না করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা এগুলো তৈরি করে থাকে।
৪। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা বিপদজনক বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রস্তুত করা সম্ভব যা পৃথিবীর এবং একটি দেশের জন্য ক্ষতিকর।
৫। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষ অনেক অলস হয়ে যাচ্ছে। কারণ মানুষ আগের তুলনায় আরো বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে।
৬। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের খারাপ ছবি তৈরি করা হচ্ছে এবং এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে মানুষের মান সম্মান নিয়ে খেলা হচ্ছে।
কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছেঃ উপসংহার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্ব পরিবর্তন করেছে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর উপকারিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য এখান থেকে পেয়েছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিবেন।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। কারণ আমরা নিয়মিত এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। ২০৮৭৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url