পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত

পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। পেট ব্যাথা একটি সাধারন সমস্যা সুতরাং সে ক্ষেত্রে পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে ধারণা রাখা আবশ্যক। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে আমরা পেটে ব্যাথা হলে নিজেদেরকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারব।
পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে যেহেতু আজকের পোস্টে জানব সুতরাং পেট ব্যাথা কি এবং পেট ব্যাথা সম্পর্কে আরো আনুষাঙ্গিক কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিব যাতে পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি। পুরো পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন তাহলে জানতে পারবেন, পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এবং পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে। চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্র 

পেট ব্যাথা কি কি কারনে হয়ে থাকে

যেখানে আজকে আমরা জানবো পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সেখানে আমাদের পেট ব্যাথা কি কি কারণে হয় সে সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। তাহলে আমরা অগ্রিম সতর্ক থাকতে পারবো এবং পেট ব্যাথা এর ঘন ঘন শিকার হবো না। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে জানতেও পেট ব্যাথা কেন হয় সে সম্পর্কে জানা জরুরী। 
প্রথমেই বলবো খাদ্য রুটিন না মেনে খাবার খেতে থাকলে অবশ্যই পেটব্যাথা হয়ে থাকে। কারণ অতিরিক্ত উল্টাপাল্টা খাবার খাওয়ার ফলে এসিডিটি সহ গ্যাস এবং বদহজমের লক্ষণ দেখা দেয় যার ফলে শুরু হয় পেট ব্যাথা। সে ছাড়াও আলসারের সমস্যা ডিসবায়োসিস এর সমস্যা সহ পেটের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ভারসামহীনতায় পরিণত হলে পেট ব্যাথা দিয়ে থাকে। তাছাড়া ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক বড় লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। 

পেট ব্যাথায় কাঁচকলা এর গুণ

আজকের পোস্টে নানারকম কথা না বলে শুধু মুখ্য বিষয় সম্পর্কে জানব। তাই সরাসরি এখন চলে আসলাম আজকের বিষয়, " পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত " এরমধ্যে। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত না এর মধ্যে কাঁচকলা একটি অংশ। কাঁচকলা খেলে পেটের ব্যাথা অনেকটা নিরাময় কিংবা কমে যায়। সিদ্ধ করে কাঁচকলা খেলে পেটের প্রদাহ কমতে থাকে কিংবা শিং মাছের সাথে কাঁচকলা দিয়ে ঝোল খেলে পেটের ব্যাথা কমে থাকে।
ফুলেট, পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ এর মত উপাদান কাজ কলায় রয়েছে বলে এটি প্যাটের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। আপনি কাঁচকলা কিনে এনে সিদ্ধ করে খেলে কিংবা ঝোল করে খেলে আপনার পেটের ব্যাথা কমে যাবে সেই সাথে বাঙালি রীতিনীতি অনুসারে শিং মাছের ঝোল কাঁচকলা দিয়ে খেলে যেমন ভালো লাগবে তেমন সুস্বাদু লাগবে সেই সাথে কেটে যাবে পেটব্যাথা।

পেট ব্যাথা কমাতে পিপারমেন্ট চা

আজকের বিষয় পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সেটির উত্তরে বলব পেটে ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এক্ষেত্রে জায়গা রাখতে পারে পিপারমেন্ট চা। কারণ এইটা অনেক ভেষজ গুণসম্পন্ন। যার কারণে এটির মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের গুণ তাই যারা ইডিটেবিল বাওয়েল সিন্ড্রোম এর শিকার তাদের ক্ষেত্রে এটি দারুণভাবে কাজে দিবে।
পিপারমেন্ট চা দারুন ভাবে পেটের ব্যাথা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ইডিটেবিল বাওয়েল সিনড্রোম এর শিকার যারা তাদের ডায়রিয়া বদ হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এবং সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় একটি অবদান রাখে পিপারমেন্ট চা। পিপারমেন্ট চা খাওয়ার ফলে সহজে পেটের ব্যাথা কিংবা পেটের ব্যাথার প্রদাহ কমে যেতে পারে। সেজন্য অনেক সময় ঘরোয়া ভাবে পেটের ব্যাথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা পিপারমেট চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পেট ব্যাথা কমাতে দই এর অবদান

আজকের বিষয়ে যেখানে, পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি হওয়া উচিত নয় সেখানে দই এর কথা না বলে কেমন হয়। দই খেলেও পেট ব্যাথা কমে যায়। তবে নিয়মমাফিক করে সুন্দর করে খেতে হবে তাহলে কমবে। অনেক সময় ডিস বায়োসিস হলে অর্থাৎ পেটের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য উল্টাপাল্টা হয়ে গেলে পেটে ব্যাথা হয়ে যেতে পারে তাই দইয়ের প্রবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া এ উল্টাপাল্টা কে ঠিকঠাক করে ভারসাম্য করে তোলে।

কারণ দইয়ের মধ্যে যে বায়োটিক ও এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তা ডিস বায়োসিস ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে তাই বাঙালি রীতি অনুসারে পেট ব্যাথা হওয়ার পর দই ভাত এবং দই চিড়ার মত খাবার খাওয়া সংস্কৃতি রয়েছে। সুতরাং পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এর উত্তরে তৃতীয় নম্বরে আসবে দই। তাই পেটে ব্যাথার ওষুধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে দই খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি সে ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল লাভ করবেন। 

এক নজরীয় পেট ব্যাথা কমাতে কি কি খেতে হবে

পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এই সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে বলতে বলতে শেষ অংশে চলে এসেছি যদিও আমি এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাবারের কথা উল্লেখ করেছি তারপরও সহকারী খাদ্য হিসেবে আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান কিংবা খাবার রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে আসা যাক। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত কিংবা কি খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে তিনটি খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তবে নিচে যেসব খাবার সম্পর্কে বলবো সেগুলো সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত আলোচনার কিছু নেই শুধুমাত্র ধারণা নিলেই যথেষ্ট। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত তাহলো:
  • আদা একটি ভেষজ উপাদান যেটি অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ধরা হয়। আদার মধ্যে এন্টিবায়োটিক সম্পন্ন যেসব উপাদান রয়েছে সেসব উপাদান অনেক শক্তিশালী যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে। খাওয়ার পর কাঁচা আদা লবণ দিয়ে চালালে কিংবা রং চা এর মধ্যে আদা দিয়ে মিশিয়ে খেলে পেট ব্যাথা অনেকটা কমে যাবে। 
  • ক্যামোমিল চা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে পেট ব্যাথা এর প্রদাহ কমাতে। বাধা জং সহ বমি বমি ভাব ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যাথা এরকম নানা রোগের ক্ষেত্রে দারুন ভাবে নিরাময় করতে সাহায্য করে এই ভেষজ চা। 
  • ডাবের পানিতে যেসব ইলেকট্রোলাইট থাকে সেগুলো শরীরের আর্দ্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর থেকে যখন ইলেকট্রোলাইট তরল পদার্থের মাত্রা কমে যায় তখন অনেক ক্লান্তি তৈরি হয় এবং পরিপূর্ণ খাদ্যের অভাবে পেছনে ব্যাথা দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি অনেকটা স্বস্তি প্রদান করে থাকে। 
  • এখন একদম সবচেয়ে সরল একটি ওষুধের কথা বলব যেটি হচ্ছে পানি। পেট ব্যাথা কমাতে পানির অবদান নেই তবে এটি নরমাল পানির কথা বলছি না। কুসুম কুসুম গরম পানি খেলে পেট ব্যাথা কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে সেখানে আদা কিংবা আদার রস দিয়ে খেলে সেটি আরো ভালো ফলাফল দিবে।
আজকে আমরা পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জেনেছি। এরকম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন ধরনের আপডেট পেতে আমাদের সাথে নিয়মিত যুক্ত থাকুন। তবে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত তথ্য আমাদের কাছ থেকে পেয়ে থাকবেন। এবং দৈনন্দিন কাজে তার অনুসরণ করে উপকৃত হতে পারবেন। ধন্যবাদ। ২৫০৪৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url