কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী

কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী ফ্রিজ কেনার আগে এই বিষয়টি অনেকেই জানতে চাই। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী? সাধারণত মানুষ ওই ফ্রিজ বেশি কিনে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী? বিষয়টি সম্পর্কে জানব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী তা জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী

কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজ পাওয়া যায়। ফ্রিজ হলো আমাদের দৈনন্দিন কাজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি। আমরা প্রতিদিন রান্না করা খাবার অথবা কাঁচা কোন খাবার সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করি। সাধারণত তাই ফ্রিজ কেনার আগেও অনেকেই কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই।

আরো পড়ুনঃ নাকের সাদা শাল দূর করার উপায়

কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশীঃ

  • সিঙ্গার ফ্রিজ
  • স্যামসাং ফ্রিজ
  • হিটাচি ফ্রিজ
  • এলজি বাটারফ্লাই ফ্রিজ
  • ওয়ালটন ফ্রিজ

সিঙ্গার ফ্রিজ - বাংলাদেশের যে সকল কোম্পানির ফ্রিজ জনপ্রিয়তার মধ্যে সিঙ্গার অন্যতম একটি। সিঙ্গার কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় মডেলের ফ্রিজ মার্কেটে নিয়ে আসে। আপনি এখানে আপনার সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দামের এবং বিভিন্ন কোয়ালিটির ফ্রিজ পেয়ে যাবেন। এই কোম্পানিতে যেসকল ফ্রিজ রয়েছে তার মধ্যে আপনি সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফ্রিজ পাবেন।

স্যামসাং ফ্রিজ - স্যামসাং সাধারণত আমরা মোবাইল কোম্পানি হিসেবে চিনে থাকি কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখা উচিত যে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস তৈরি করে থাকে যেমন টিভি ফ্রিজ ইত্যাদি। বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার উপরের দিকে রয়েছে স্যামসাং ফ্রিজ। এখানে আপনি বিভিন্ন দামের মধ্যে ফ্রিজ পেয়ে যাবেন। যেহেতু এটি খুবই জনপ্রিয় একটি কোম্পানি তাই এই ফ্রিজের দাম অন্যান্য ফিরে যেতে একটু বেশি থাকে।

হিটাচি ফ্রিজ - বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে রয়েছে হিটাচি ফ্রিজ। এটিও খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্রিজ ব্রান্ড। বর্তমান সময়ে হিটাচি ফ্রিজে বিভিন্ন ধরনের ফিচার এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন এই কোম্পানির ফ্রিজের মধ্যে পাওয়া যায় ডাবল কুলিং সিস্টেম আরো অসংখ্য ফিচার সমূহ। এই কোম্পানির ৫১০ লিটার ফ্রিজের দাম ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মতো।

এলজি বাটারফ্লাই ফ্রিজ - একসময় বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় ছিল এলজি বাটারফ্লাই ফ্রিজ। কিন্তু বর্তমান সময়ে এলজি বাটারফ্লাই ফ্রিজের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছে তবুও অনেক মানুষের পছন্দের উপরের তালিকায় থাকে এটি। সাধারণত মানুষ যে সকল পারফরম্যান্স চাই এই কোম্পানির ফ্রিজগুলো সেই পারফরম্যান্স গুলো দিয়ে আসছে আগে থেকেই।

ওয়ালটন ফ্রিজ - বাংলাদেশ সবথেকে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়ালটন। আপনারা অনেকেই জানেন যে ওয়ালটন হলো বাংলাদেশী কোম্পানি। বাংলাদেশী কোম্পানি অনেকেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকে। কিন্তু আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখে বর্তমান সময়ে থেকে বেশি সুবিধা এবং পারফরমেন্সের দিক থেকে এগিয়ে ওয়ালটন কোম্পানির ফ্রিজ।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটি

অনেক সময় ফ্রিজের কারণে আমাদের বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত তাই ফ্রিজ কেনার সময় অনেক ক্রেতা রয়েছে যারা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটি? এ বিষয়ে জানতে চাই। বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজে অনেক বেশি বিল আসে সাধারণত তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটি? এ বিষয়টি সম্পর্কে আগে আমাদেরকে জানতে হবে। উপরের আলোচনায় কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী তা জেনেছি।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির নতুন নতুন ফিচার যুক্ত ফ্রিজ আমদানি করা হচ্ছে। এখন আপনি যদি ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে ইউটিউব অথবা অন্যান্য সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিজের রিভিউ দেখে নেওয়া। অনেক সময় ফ্রিজ অতিরিক্ত গরমের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই যেকোনো ধরনের ফ্রিজ কেনার আগে আমাদেরকে তার বিস্তারিত সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ আম গাছ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

ফ্রিজ ব্যবহার করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে আপনি যদি ফ্রিজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিয়ম গুলো মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনার বিদ্যুৎ বিল হবে আর যদি আপনি ফ্রিজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো মানেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসবে। তাই আপনি যে কোম্পানির ফ্রিজ নেন না কেন আপনাকে ফ্রিজ ব্যবহার করার নিয়ম গুলো জানতে হবে।

ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে

আপনি কি ফ্রিজ কেনার চিন্তাভাবনা করছেন? যদি আপনি ফ্রিজ কেনার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে সেগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে অবগত হতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে সেটি ফাস্ট নাকি নন ফাস্ট। আপনি যখন ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবেন। কারণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে ফ্রিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাকে ফ্রিজ কেনার আগে এ বিষয়টি প্রথমে জেনে নিতে হবে।

ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই জানতে হবে ফ্রিজ চারপাশ থেকে খাবারকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারে কিনা এবং অতিরিক্ত বরফ জমে কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা নিতে হবে। যদি ফ্রিজ নন ফাস্ট হয় তাহলে অতিরিক্ত মাত্রায় বিদ্যুৎ বিল আসবে। এছাড়া কারেন্ট চলে গেলে ফ্রিজের মধ্যে থাকা খাবার আড়াই থেকে তিন ঘন্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।

বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনতে ফ্রিজ ব্যবহার

আপনার যদি বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে তাহলে এর জন্য অনেকটাই দায়ী ফ্রিজ। আপনি যদি সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে ফ্রিজ ব্যবহার না করেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনতে চান তাহলে আপনাকে ফ্রিজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। চলুন বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনার জন্য সঠিকভাবে ফ্রিজের ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক।

নিয়মিত আপনার ফ্রিজের কনডেন্সার পরিষ্কার করতে হবে। কারণ অনেক সময় কনডেন্সার এর কোয়েলে ময়লা জমে যেতে পারে যার ফলে তাপ বিকিরণ করতে বাধা গ্রস্থ করে সাধারণত এর কারণে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। তাই আপনাকে নিয়মিত ফ্রিজের কনডেন্সার পরিষ্কার করতে হবে।

ফ্রিজ খোলার পরে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। কারণ ফ্রিজের দরজা ঠিকমতো না লাগালে ফ্রিজে ঠান্ডা আবহাওয়া বাইরে চলে আসে এরপরে ফ্রিজের উপরে বেশি চাপ পড়ে। যার কারণে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে। তাই ফ্রিজ এর দরজা খোলার পরে অবশ্যই ভালো হবে দেখে নিতে হবে সঠিকভাবে লেগেছে কিনা।

আপনি যদি বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনতে চান তাহলে কখনো গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না। যদি গরম খাবার ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে ফ্রিজের এনার্জি অনেক বেশি খরচ হয় যার ফলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই খাবার রাখার সময় এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

নিয়মিত আপনাকে ফ্রিজের রেগুলেটর এর পাওয়ারের উপরে নজর রাখতে হবে। কারণ ফ্রিজের রেগুলেটরের পাওয়ার যত কম থাকবে বিদ্যুৎ বিল তত কম আসবে। তাই অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লাগবে।

যদি বেশি পরিমাণে খালি জায়গা থাকে তাহলে তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায় তাই ফ্রিজের খালি জায়গা বন্ধ রাখতে হবে। তাই বলে ফ্রিজে অতিরিক্ত খাবার লোড করতে হবে এমনটা নয়। স্বাভাবিক মাত্রায় অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবার লোড করতে হবে।

আমাদের শেষ কথাঃ কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে কোন ব্রান্ডের ফ্রিজ ভালো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশী? বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কোনটি? ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে, বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনতে ফ্রিজ ব্যবহার করতে হবে কিভাবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা ফ্রিজ কিনতে চান তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে আজকের এই আর্টিকেলটি।

আরো পড়ুনঃ Google adsense কি ? গুগল এডসেন্সের থেকে কিভাবে আয় করবেন

আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url