বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে কি আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমি এই পোস্টে আপনার জন্য বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনি যদি বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বিকাশে টাকা নিরাপদ রাখার পাশাপাশি আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে সেভিংসের উপর 3% পর্যন্ত বার্ষিক সুদ পেতে পারেন। সুদ শুধুমাত্র বিকাশ গ্রাহক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা এবং বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্রঃ বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- বিকাশ সেভিংস একাউন্ট কি?
- বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার
- বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার পাওয়ার শর্ত
- ইন্টারেস্ট সার্ভিস চালু এবং বন্ধ করা
- ইসলামিক সেভিংস একাউন্ট বা স্কিম সম্পর্কে জানতে অতিরিক্ত তথ্য
- শেষ কথা
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট কি?
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট হল বিকাশের এমন একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে আপনি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে সেভিংস স্ক্রিম চালু করা করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ে সেই সেভিংস এর থেকে ইন্টারেস্ট পাবেন। আপনি যদি আপনার একাউন্টে এই বিকাশ সেভিংস একাউন্ট চালু করেন তাহলে প্রতি মাসে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু টাকা কেটে নিবে। সেটা হতে পারে মাসে ৫০০, ১০০০,২০০০ বা ৩০০০ টাকা।
আপনি এই একাউন্ট যে সময় নিয়ে খুলবেন তার মেয়াদ শেষ হলে আপনি আপনার প্রতিমাসে কেটে নেওয়া টাকা এবং তার মুনাফার হার বা লাভ সহ একসাথে পাবেন। আর এসব টাকা তুলতে আপনাকে কোনো চার্জ দিতে হবে না মানে ক্যাশ আউট করতে যে চার্জ লাগে সেটা। ভালোভাবে বলতে গেলে আপনি বিকাশেরি ডিপিএস খুলতে পারবেন। নিচে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা ও বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার দেখুন।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
সবাই যখন কোনো কাজ করে তখন সেটা করলে কেমন হবে, করলে ভালো হবে কিনা বা এটা করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় তা জানার চেষ্টা করি। তাহলে আপনি যদি বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে এই একাউন্টের কি কি সুবিধা আছে তা ভালোভাবে জানা উচিত। তাই এখানে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
- বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার পর এর যাবতীয় সুযোগ সুবিধা আপনি ভোগ করতে পারেন নতুন একটা বিকাশ সেভিংস একাউন্ট থেকে।
- বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার পর এর সকল তথ্য আপনি যখন ইচ্ছা তখন দেখতে পারবেন।
- আপনি আপনার একাউন্টে কয়বার বা কয় মাস টাকা দিয়েছেন এবং আরো কত মাস বাকি আছে তার সকল তথ্য জানতে পারবেন।
- এক মাস টাকা দেওয়ার পর পরের মাসে কখন টাকা জমা দিতে হবে এই সম্পর্কে আগেই আপনাকে নোটিফিকেশন দিয়ে দেওয়া হবে।
- আবার আপনাকে টাকা জমা দিতে অন্য বাহিরে কোথাও জেতে হবেনা আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে পেমেন্ট করতে পারবেন।
- বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধার মধ্যে আর একটি সুবিধা হল মেইন টাকার থেকে লাভ পাওয়া যাকে সুদ বলে। তবে ইসলামে সুদ খাওয়া হারাম তাই আপনি এই লাভ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
- আপনার একাউন্টের মেয়াদ শেষ হবার পর আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকেই টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার
বিকাশ সেভিংস একাউন্টে টাকা নিরাপদ রাখার পাশাপাশি আপনি এখান থেকে টাকার লাভ পেতে পারেন। আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে সেভিংসের উপর 3% পর্যন্ত বার্ষিক সুদ পেতে পারেন। এই সুদ শুধুমাত্র বিকাশ গ্রাহক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধার এটি একটি খুব বড় সুবিধাঃ
- আপনি যদি বছরে ৫০০০ – ৫০০০০ জমা রাখেন তাহলে বছরের শেষে এর সুদ হবে ১%
- আপনি যদি বছরে ৫০০০০ –১০০০০০ জমা রাখেন তাহলে বছরের শেষে এর সুদ হবে ২%
- আর আপনি যদি বছরে ১০০,০০০ বা এর থেকে বেশি পরিমাণ জমা রাখেন তাহলে বছরের শেষে এর সুদ হবে ৩%
আরো পড়ুনঃ আম গাছ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
তবে আপনি যদি ইন্টারেস্ট পেতে চান তাহলে কিছু কন্ডিশন মানতে হবে যা নিচে আলোচনা করবো। আপনি যদি এই শর্তগুলো না মানেন তাহলে আপনি আপনার টাকা থেকে ইন্টারেস্ট পাবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ সেভিংস একাউন্ট থেকে ইন্টারেস্ট পাওয়ার শর্ত গুলোঃ
বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার পাওয়ার শর্ত
- শুধুমাত্র পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্টের অধিকারী এটা পেতে যোগ্য হবেন।
- সর্বনিম্ন ব্যালেন্স টাকা একটি মাসের প্রতিদিন 5,000 টাকা থাকতে হবে।
- সুদের পরিমাণ এক মাসে গড় দৈনিক ব্যালেন্সের হিসাবে ধরা হবে।
- এক মাসের মধ্যে সব শেষ দিনের শেষ ব্যালেন্সের ওপর সুদের হার বিবেচনা করা হবে।
- বিকাশ বিকাশ অ্যাকাউন্টের অধিকারীর অবশ্যই মাসে কমপক্ষে ১০ বা তার বেশি টাকার লেনদেন করতে হবে।
- সুদ পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্টের অবস্থা এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকার লেনদেন চলতে থাকতে হবে যদি লেনদেন চালু না থাকে তাহলে সে সুদ পাবেনা।
- সকল প্রয়োজনীয় সরকারী ট্যাক্স/ভ্যাট বাদ দেওয়ার আপনার পরে সুদের পরিমাণ জমা করা হবে
- দ্বি-বার্ষিক ভিত্তির ওপর নির্ভর করে সুদ দেওয়া হবে।
ইন্টারেস্ট সার্ভিস চালু এবং বন্ধ করা
উপরে উল্লিখিত শর্তগুলি পূরণ করার পরে একজন বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর মালিক এবং নতুন বিকাশ গ্রাহকরা সুদ পেতে পারেন এর জন্য অন্য কোনো সার্ভিস চালু করার প্রয়োজন নেই। এটা হল বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধার মধ্যে অন্যতম সুবিধা।
আরো পড়ুনঃ মুখের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
ইন্টারেস্ট সার্ভিস বন্ধ করাঃ বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার পর যদি কখন আপনার মনে হয় আপনি সুদ চান বা ইন্টারেস্ট সার্ভিস বন্ধ করতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন আপনি যদি আপনার বিকাশ একাউন্টে সুদ পেতে না চান তাহলে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুনঃ
- প্রথমে 16247 এ কল করুন
- ভাষা সিলেক্ট করুন এখানে বাংলার জন্য 1 এবং ইংরেজির জন্য 2
- সঞ্চয় এবং অন্যান্য তথ্যের সুদের জন্য 5 টিপুন
- বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য 1 টিপুন
- সুদ নেওয়া বন্ধ করতে চান তাহলে 1 টিপুন এছাড়াও আপনি যদি আপনার একাউন্টের আগে বন্ধ করা সুদ সার্ভিস পুনরায় চালু করতে চান তবে করে 2 টিপুন
- আপনি যা চাইবেন সেটা সিলেক্ট করার পর আপনাকে একটি SMS এর মাধ্যমে তা জানানো হবে৷
ইসলামিক সেভিংস একাউন্ট বা স্কিম সম্পর্কে জানতে অতিরিক্ত তথ্য
- আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সঞ্চয় স্কিম খুলতে পারেন।
- প্রয়োজনে আপনি দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করতে পারে।
- বিকাশ থেকে ইসলামিক সেভিংস স্কিমের জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেই।
- সিটি ব্যাংক লিমিটেডের সাথে একটি সেভিংস স্কিম করার ৩ মাস পূর্ণ হওয়ার আগে তা বাতিল করা সম্ভব নয়। যাইহোক আপনি ৩ মাস শেষ করার পরে যেকোন সময় আপনার নগদ টাকা তুলতে পারবেন।
- যদি কেউ আপনার পিন ভেরিফিকেশন কোড এবং অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতি করে তাহলে বিকাশের কোনো দায় নাই।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url