পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায়

আপনি কি পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তাই পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায়
নিচে আপনাদের জন্য স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায়, পেটের ফাটা দাগ কিভাবে দূর করব এবং পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় 

স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায়

শরীরের স্ট্রেচ মার্ক মোটেও ভালো কিছু নয়। শরীরে স্ট্রেচ মার্ক থাকলে দেখতে খুবই খারাপ লাগে। এ ধরনের দাগ দেখা যায় গর্ভবতী মায়েদের পেটে। অর্থাৎ যারা সন্তান জন্ম দেয় তাদের পেটে। আবার যারা মোটা থেকে শরীর কমিয়ে চিকন হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দাগ দেখা দেয়। এই ধরনের দাগ শরীরে থাকা অবশ্যই ভালো দেখায় না তাই শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে হবে। শরীরের কাঁটা দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় হচ্ছে-
অ্যালোভেরার প্রশান্তিদায়ক এবং নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি স্ট্রেচ মার্কগুলিতে লাগান এবং আলতো করে ম্যাসাজ করুন। মেসেজ করার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে সহায়তা করতে পারে। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।  

এছাড়াও লেবুর রস দিয়েও শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করা যায়। শরীরের স্ট্রেচ মার্ক লেবুর রস লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে পরে ধুয়ে ফেলার মাধ্যমে এই দাগ দূর করা যায়। ত্বক ভালো রাখতে হলুদের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে হলুদের কার্যকারিতা অনেক। টকদইয়ের সাথে হলুদ মিশিয়ে যেখানে দাগ রয়েছে সেখানে ব্যবহার করলে শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর হয়ে যাবে।

পেটের ফাটা দাগ কিভাবে দূর করব

গর্ভাবস্থায় পেটে ফাটা দাগ সৃষ্টি হয় মেয়েদের। কিন্তু এই দাগের জন্য অনেক খারাপ লাগে। কেউ কেউ এই দাগ নিয়ে বিরক্ত হয়ে যায়। অনেকেই চিন্তায় থাকে যে কিভাবে এই ফাটা দাগ দূর করবো। দুশ্চিন্তার কারণ নেই এখন আপনাদের কিছু পদ্ধতির কথা বলবো যার মাধ্যমে পেটের ফাটা দাগ দূর করতে পারবেন। পেটের ফাটা দাগ দূর করতে নারিকেল তেলের সাথে চিনি মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় হালকা করে ম্যাসাজ করবেন প্রতিদিন। ম্যাসাজের পর কিছুক্ষণ রেখে দিবেন তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এছাড়াও এলোভেরার জেল লাগাতে পারেন। এলোভেরাও ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার টক দই ও কাচা হলুদ মিশিয়ে সেখানে লাগাতে পারেন। লেবুর রসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এইসব দাগ দূর করতে। তাই আপনি চাইলে এসব উপায়গুলো ব্যবহার করবেন। আর আপনি এই দাগ দূর করতে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ নিতে পারেন। তারা যদি কোন ঔষধ বা ক্রিম সাজেস্ট করে থাকে তাহলে সেগুলো ব্যবহার করবেন।

পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায়

পেটে ফাটা দাগ তাদেরই হয় যারা মা হয়। গর্ভকালীন সময়ের পরে এটি হয়ে থাকে। তবে যাদের গর্ভপাত হয় সকলেরই যে এরকম ফাটা দাগ হবে তা না। সকলের এরকম সমস্যা হয় না। তবে কিছু কিছু মানুষের হয় কিন্তু অনেকের হওয়ার পরে ঠিক হয়ে যায় আবার অনেকের ঠিক হয় না। এখন এই পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় কি সে সম্পর্কেই আপনাদের বলা হবে।
এই দাগ দূর করতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন ডিমের সাদা অংশে অনেক ধরনের ভিটামিন ও উপাদান রয়েছে। এই ডিমের সাদা অংশ প্রতিদিন ভেঙ্গে দাগে মাখিয়ে দিলে এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আবার লেবুর রস, হলুদ, নারিকেল তেল ও চিনি, এলোভেরা জেল, মধু ইত্যাদি জিনিসগুলো ঐ জায়গায় লাগাতে পারেন একই নিয়মে। এসব ব্যবহার করলে পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে।

প্রেগনেন্সির পর কি স্ট্রেচ মার্ক কমে যাবে

প্রেগনেন্সির পর কি স্ট্রেচ মার্ক কমে যাবে এই প্রশ্নটি স্ট্রেচ মার্ক যাদের হয় বা যারা প্রেগনেন্সি অবস্থায় থাকে তাদের মনে হয়ে থাকে। আসলে গর্ভকালীন সবারই যে স্ট্রেচ মার্ক হবে তা না। কারো হবে কারো হবে না কারো হয়েও ভালো হয়ে যায় আবার কারো হয়ে আর ভালো হয় না দাগ থেকেই যায়। তো যাদের দাগ ভালো হতে দেরি হয় তাদের জন্য উপরে যেসব উপায়গুলো বলা হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

স্ট্রেচ মার্ক এর জন্য কোন লোশন ভালো

স্ট্রেচ মার্ক যাদের আছে তারা হয়তো ভালো লোশন খুজে থাকেন যে কোন লোশন ব্যবহার করলে অন্তত এই দাগ দূর করতে পারবেন। এখন স্ট্রেচ মার্ক এর জন্য বাজারে অনেক ধরনের লোশন পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি ভালো লোশন হচ্ছে পলকা স্ট্রেচ মার্ক লোশন। এই লোশন মাতৃত্বকালীন দাগ, শরীরের ফাটা দাগ, চামড়া কুচকে যাওয়া ইত্যাদি ভালো করতে ব্যবহার করা যায়।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে পেট থেকে গর্ভকালীন ফাটা দাগ দূর করার উপায় ছাড়াও জানতে পেরেছেন স্ট্রেচ মার্ক এর জন্য কোন লোশন ভালো, প্রেগনেন্সির পর কি স্ট্রেচ মার্ক কমে যাবে ইত্যাদি অনেক বিষয় সম্পর্কে। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, তাই এধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url